জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিন দিন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতিবছরই ৫-৬ লাখ ছাত্রছাত্রীর দেশের সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমিতসংখ্যক আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দিতে হয়। সাধারণত মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেরা এইচএসসি পর্যন্ত কোনো রকমে পড়ালেখা করতে পারে। তারপর আর অর্থের অভাবে পড়ালেখা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। বর্তমানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসনসংখ্যা কম হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়েই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হয়। এ সুযোগে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইচ্ছেমতো টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন, যা অনেকের পক্ষে জোগানো সম্ভব হয় না। তাই অনেক ছাত্রছাত্রীই এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় এ-প্লাস পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। এভাবেই অকালে ঝরে পড়ছে দেশের মেধাবী অসংখ্য শিক্ষার্থী। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে, তাতে সঠিকভাবে মেধা যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না। এটাকে একটা ভাগ্যপরীক্ষা হিসেবে গণ্য করা হয় মাত্র। তাই শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, শিক্ষাখাতে অর্থের পরিমাণ আরও বাড়ানো দরকার। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আরও আসনসংখ্যা বাড়ানো দরকার।
কামরুন নাহার চৌধুরী নিপা
তেজগাঁও মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
শেয়ার করুনঃ