বাংলাদেশের যেকোনো নতুন সরকার এলেই শুরু হয় সরকারবিরোধী আন্দোলন। তা সে দল জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হোক, আর কারচুপির মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসুক। ফলে সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে রাজপথ সরব থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। সাধারণ মানুষের ধারণা, বাংলাদেশের ঘুণে ধরা রাজনীতির যে সংস্কৃতি বা ধারা দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে, সেই ধারা না ভাঙা গেলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তার মানে হচ্ছে, এখন প্রয়োজন সৎ এবং তরুণ নেতৃত্ব। যারা সাদাকে সাদা বলবে, কালোকে বলবে কালো। সত্য স্বীকার করবে, মিথ্যাকে পরিহার করবে। হিংসা, ঘৃণা, বিদ্বেষ নিয়ে মাতামাতি করবে না। অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার চেয়ে দেশকে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তাই নিয়ে ভাববে। সেই নেতৃত্বের প্রতীক্ষায় দেশবাসী চেয়ে থাকলেও সামনে কাউকে পাচ্ছে না তারা। তাহলে সেই নেতৃত্ব কোথায়?
সাম্প্রতিক সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়ের কথাবার্তায় বাংলাদেশের সেই বুড়ো রাজনীতিবিদদের প্রতিচ্ছবিই দেখতে পাচ্ছি আমরা। বিরোধী পক্ষের সমালোচনাই যেন বিজয়ী হওয়ার মূল অস্ত্র, সেই পথেই হাঁটছেন তিনি।
অপরদিকে বিরোধীদলীয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে আমারা দেখেছি অত্যন্ত মার্জিত ও সংবেদনশীল ভাষায় কথা বলতে। ছুটে যেতে দেখেছি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তারপরও ১/১১ এর পর তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো উঠেছে তা এখনও পরিস্কার করতে পারেননি তার দল বিএনপি। তাহলে আমরা যাব কোথায়?
দেশের মানুষের শেষ ভরসা নতুন প্রজন্ম। এ আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তরুণ রাজনীতিকেরই।
শেয়ার করুনঃ